About Me

My photo
Hello! I am Khan Md.Shadman Rahman Shabab. I am from Bangladesh. I am a student of class ten in one of the prominent institutions of Bangladesh, Monipur High School and College. Besides I am a debater, Quizer and Gamer.

Sunday, May 16, 2021

অসুস্থ প্রতিযোগিতার কবলে পড়ে এ যেন এক প্রাণহীন পোশাক খাত!

একদিন ঘুম থেকে উঠে শুনলেন, দেশের সব পোশাক কারখানা গুলোতে তালা ঝুলছে!এই কথাটা শুনে আপনি নিশ্চয়ই অনেক অবাক হয়েছেন।আপনি চিন্তা করছেন কেন এই সমস্যা দেখা দিবে,তবে আসুন দেখি।আর এতে কোনো সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশের পোশাক বিশ্ব দরবারে অনেক সমৃদ্ধ এবং তার ফলস্বরূপ বিশ্বে পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনামের পরই দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ।(তথ্যসূত্রঃ রয়টার্স)। এই অবস্থানটি বিগত বছর কয়েক ধরে রেখেছে আমাদের দেশ।এটি আমাদের দেশের জন্য গর্ব ও সুখকর মুহূর্ত হওয়ার পাশাপাশি আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে।
যা একটি আশীর্বাদ।বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ স্থান কবে পাবে তা আমার জানা নেই।তবে এটুকু বলতেই পারি বাংলাদেশের প্রতিটি আর.এম.জি. সেক্টরের মূল লক্ষ্য হলো কম বিনিয়োগে অধিক মুনাফা উঠিয়ে আনা।এটা আশা করা অবশ্যই কোনো অপরাধ না।পোশাকের চাহিদা থাকায় রাজধানীতে ও মূল শহর গুলোতেও একের পর এক পোশাক কারখানা গড়ে উঠেছে।যা জিঞ্জিরা,গেন্ডারিয়া,মিরপুর সহ প্রভৃতি এলাকা গুলোতে চোখ মেলালেই বোঝা যায়।বসতবাড়ির পাশাপাশি পোশাক কারখানাও সমানুপাতিক হারে বেড়েই চলেছে।আর তাদের কেউ চায় পোশাক গুলোকে দেশের মানুষের কাছে সরবরাহ করতে,আর কেউ চায় বিদেশে।নিজ দেশের এতো কারখানার পোশাক থাকায় আমার আর আপনার মতো ক্রেতার কাছে অনেক গুলো বিকল্প আছে পোশাক বাছাই করে ক্রয় করার।আমরা ক্রেতারাও সাশ্রয়ী মূল্যে ভালোটাই চাই,আর তার উপর পোশাকে যদি কোনো মূল্যছাড় থাকে তাহলে তো কোনো কথাই নেই!এর ফলশ্রুতিতে শ্রমিক কারখানার মালিকগণ গুলোও আমাদের মতো ক্রেতাদের লক্ষ্য করে তাদের দৃষ্টিতে অধিকতর মুনাফা না করে কম মুনাফায় পোশাক গুলোকে বিক্রি করে দেয়,কারণ তাদের তো পোশাক বিক্রি করতে হবে।তবে এর সরাসরি প্রভাবটি গিয়ে পড়ে পোশাক শ্রমিকদের উপর।কীভাবে?দেখুন যখন কারখানার মালিকগণ তাঁদের আশানুরূপ মুনাফা পাননা তখন শ্রমিক ছাটাই থেকে বেতন-ভাতা কমিয়ে আনার মতো কাজও তাঁরা করেন যাতে তারা আশানুরূপ মুনাফাটা হাতে রাখতে পারেন এবং পুঁজিবাদের রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যই এটি।এমন কী অসুস্থ প্রতিযোগিতার দৌড়ে শ্রমিকগণ গুলোই অমানুসিক পরিশ্রম করছেন,ঘাম ঝড়াচ্ছেন যেটা তাঁদের করবার কথা না এবং এই দৃশ্যটা স্পষ্ট বোঝা যায় বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর শুরুর দিকে।বাংলাদেশ সহ সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাসের আক্রমণ যখন জেঁকে বসলো তখন অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাধ্যতামূলক সবকিছুতে কোয়ারেন্টাইন এর আদেশ দেওয়া হলো।বন্ধ করে দেওয়া হলো সবকিছু,কিন্তু পোশাক কারখানার মালিকগণ তা মানতে নারাজ ছিলেন এটা আমরা সবাই জানি।শ্রমিকগণ গুলোও তাহলে বেতন পাবেনা এমন কথাও তারা বলেছিলেন।যার কারণে শ্রমিকগণ গুলোও এক প্রকার ভাবে দিশেহারা হয়ে যায়।যার ফলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কারখানা গুলো খুলে দেওয়া হয় এবং নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে রেখে তাঁরা কাজে যান।আর মালিকগণের পক্ষ থেকে অনেক স্বাস্থ্যসেবা ও নিয়ম মেনে কার্যক্রম করার কথা থাকলেও একটিরও পালন সঠিকভাবে করা হয়নি।শুরুর প্রথম দিকে এক প্রসিদ্ধ ও বিখ্যাত এক আর.এম.জি কোম্পানী চরণ(ছদ্মনাম)খুলে দেওয়া হয় এবং মালিক জানান যে তাঁদের পোশাক অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি হবে,আর অনলাইন মাধ্যম পোশাক ক্রয়-বিক্রি অনেক সহজলভ্যও বটে,যার ফলে ক্রেতারাও আকৃষ্ট হয়।কিন্তু এর প্রভাবতো শ্রমিকগণ দের উপর পড়ছে।তাঁদের কথা কয়জনই বা ভাবে?তাঁরা তো এই সমাজের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ।বড় বড় দোকান,সুন্দর কারুশিল্পী কাজের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত দোকান গুলো থেকে আমরা পোশাক ক্রয় করাকে বিলাশিতা মনে করি।কিন্তু এই পোশাক যাদের হাত দিয়ে তৈরী তারাই হয়তো চার-পাঁচ মাস ধরে পাওনা বেতন নেওয়ার জন্য তাঁদের মালিকপক্ষের নিকট আর্জি জানাচ্ছেন।যা কখনো কখনো সংঘর্ষের রূপ পর্যন্ত নিয়ে নেয়। আর এই দৃশ্যের দেখা হরহামেশাই মেলে।যার কারণে আমি লেখাটি যে বাক্য দিয়ে শুরু করেছিলাম,তার বাস্তবতাটা হয়তো পাঠকগণ সামান্য হলেও আঁচ করতে পারছেন যে কেন আমি ঐ বাক্যটি লিখেছিলাম।তবে এতো খালি সমালোচনাই হলো। পোশাক খাতের উন্নয়ন অনেকেরই জানা, যেটা অস্বীকার করবারও উপায় নেই।অনলাইন এসে তা যেন যুগান্তকারী এক রূপ নিয়েছে।কিন্তু এই গল্পের পেছনের দৃশ্য কয়জনই বা জানেন। আমাদের দেশের তৈরি পোশাক গুলো যখন উক্ত কারখানার নিজস্ব দোকানে বিক্রি হয় যা ব্র‍্যান্ড নামে খ্যাত তা মধ্যবিত্তদের ক্ষেত্রে মূল্যছাড় ছাড়া ক্রয় করাটাও তাদের পক্ষ্যে কষ্ট সাধ্য।আর যেই শ্রমিকগণ এই ব্র‍্যান্ডের পোশাক তৈরি করে যাচ্ছেন তাঁদেরই দিনশেষে তাঁদের পরিবারের জন্য বেছে নিতে হয় ফুটপাতের পোশাক,নিজের তৈরি পোশাকও তাঁরা ক্র‍য় করতে পারেন না।যেদিন আমি দেখব যে শ্রমিকগণ তাঁদের তৈরি পোশাক তাঁদের কর্মক্ষেত্রের কারখানার উক্ত দোকান থেকে খুশিমনে ক্রয় করতে দেখব এবং একই সাথে যে শিশু গুলো যারা বর্তমানে শুধু লজ্জাস্থান ঢেকে রাখার মতোই পোশাক পায় এবং দোকানের জড় বস্তু মেন্নেকুইনে সাজানো পোশাক এই বস্ত্রহীন শিশু গুলো দেখে, তারাও যেদিন তাদের পছন্দের পোশাক পরিধান করবে সেদিন আমি বলবো যে বাংলাদেশের পোশাক খাত প্রকৃত অর্থেই উন্নয়ন সাধন করেছে।যার জন্য সরকার,ক্রেতা,বিক্রেতা,মালিক,শ্রমিক সহ সবার ঐক্যতার পাশাপাশি একে অপরের সহযোগীতার প্রয়োজন।আর এভাবেই আমরা যদি পোশাক খাতে কখনো শীর্ষ স্থান দখল করেও ফেলি তাতে যতটা কীনা আনন্দ বোধ করবো তার চেয়ে অনেকগূণ বেশি আনন্দ ও গর্ব বোধ এই কারণে করবো!আপনিও কী আমার সাথে এই চিন্তাধারায় একমত?

সময়ের বিবর্তনে উনিশ শতকের সবচেয়ে বড় দেশেগুলোর এখন মানচিত্রেও ঠাই নেই!

জাতিসংঘের ভূমিকা, কার্যকরিতা আর দূরদর্শীতা নিয়ে আমাদের অনেকের জ্ঞানেরই সীমাবদ্ধতা আছে। আসুন একটু বোঝার চেষ্টা করি যে, পৃথিবীতে সকল দেশই আদতে স্বাধীন-সার্বভৌম কি না, আর তা না হলে সেখানে জাতিসংঘের ভূমিকা কী! আমি এমব কিছু দেশের কথা এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করবো যেগুলো কি না একসময় পৃথিবীর স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল, তবে বিভিন্ন কারণে কয়েকটি দেশ এই মানচিত্র থেকে সাবস্ট্র‍্যাক্ট হয়ে গিয়েছে। ১)তিব্বতঃতিব্বত আর চায়নার দ্বন্দ্ব বা চায়না আর দালাইলামা দ্বন্দ্ব মোটামুটি আমরা সবাই জানি।১৯১২ সাল থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত তিব্বত চায়নার বাউন্ডারির পাশে একটা দেশ হিসেবেই বিশ্বমানচিত্রে স্থান পেয়েছিল।কিন্তু ১৯৫১ সালে চায়নাই তিব্বত কে তাদের আন্ডারে নিয়ে নেয়।আর এরই প্রেক্ষাপট ধরে ১৯৫৯ সালে তিব্বতের দালাইলামার মধ্যে চাইনিজ মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে প্রোটেস্ট শুরু করে।আর প্রতিবারের মতো চায়না এটাও ধামাচাপা দিয়ে দেয়।আর এরপর চায়নিজ লিবারেশন আর্মিরা দালাইলিমার বাসার আর্টিলারি শেলের উপর ফায়ারিং করা শুরু করে দিয়েছিল।আর ওই রাতে দালাইলামা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়।আর আজ পর্যন্ত ভারতেই আছেন তিনি।এভাবে তিব্বত নামের দেশটি হারিয়ে যায় বিশ্বমানচিত্র থেকে।
২)ইউগোস্ল্যাভিয়াঃএই দেশটা অনেক পাওয়ারফুল দেশ হিসেবে সাউথইস্ট ইউরোপে জায়গা করে নিয়েছিল।আর আপনাদের মধ্যেই অনেকেই ভাবেন যে এটা একটা স্বাধীন দেশ।ব্যাপারটা এরকম একদম না।কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে এই দেশ পুরোপুরি ভাবে ধবংস হয় এবং এর স্বাধীনতাটাও চলে যায়।পরবর্তীতে এই দেশ কয়েকটা রাইবাল গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যায়।আর ১৯৯০ সালে অফিশিয়ালি এই দেশটি ৭টা দেশ আর একটা শহরের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়।আর এই দেশ গুলোই হচ্ছে-ক্রোয়েশিয়া,বসনিয়া,হার্জেগোভিনা, সার্বিয়া আর স্লোভেনিয়া,বেলারুশের একটি শহর কোসাভা আর মোন্টেনেগরো। ৩)পার্সিয়াঃএটা আমার পছন্দের একটা নাম।প্রিন্স অফ পার্সিয়া আমার পছন্দের একটা গেম,এর মাধ্যমে ব্যাবিলনীয় সভ্যতার আইডিয়া পাই।।তবে এই নিয়ে সম্প্রতি ঘাটাঘাটি করে একটা তথ্য পেলাম সেটা হচ্ছে পার্সিয়া মিডিল ইস্টের একসময়ের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সেন্টার ছিল।পার্সিয়ার ইম্পায়ারের বাউন্ডারি ছিল তুর্কির উত্তর, মিশরের পশ্চিম ও সিন্ধু নদীর(Indus) পূর্ব দিকে।আর ১৯৩৫ সালে যখন রেজা শাহ্ ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির কাছে দরখাস্ত করেন,তখন ২২ই মার্চ ওই সালেই পার্সিয়ান ইম্পায়ারের মাঝ বরাবর যে জায়গাটা চারদিক পাহাড় দ্বারা ঘেড়াও সেটার নাম দিয়ে দেওয়া হলো ইরান।আর নতুন বর্ডার ও সংযুক্ত হলো।আর ১৯৫৯ সালে যখন মানুষজন এই দেশের নতুন নাম নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করলো তখন এহসান ইয়ার্শতার নামক প্রফেসর এটা প্রপোজ করলেন যে এই দেশটা ইরান আর পার্সিয়া দুই নামেই যেন ডাকা হয়।তবে ওইটাই ইরান নামেই স্থায়ী হলো,কারণ পার্সিয়ান বর্ডার পুরোপুরি ব্রেক করা হয়েছিল।
৪)সিক্কিমঃসিক্কিম ভারত বর্ডারের বাইরে আলাদা একটা স্বাধীন দেশ ছিল।নামগিয়্যাল(Namgyal)নামক ডাইনিস্টি ১৬৪২ সেখানে রাজত্ব করতো ।আর এরপর ১৮৯০ সালে সিকিম ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার একটি প্রিন্সলি স্টেট হিসেবে ঘোষণা পায়।আর ১৯৫০ সালে আবার এই সিকিম স্বাধীন দেশ হয়।আর ভারতই এই দেশটাকে প্রোটেক্ট করতো যেভাবে ভূটান কে করে। কিন্তু নামগিয়্যাল ডাইনিস্টি এই দেশটা শাসন করতো।এরপর ১৯৭৩ সালে এ্যান্টি রয়ালিস্ট সিকিমের রয়্যাল প্রাসাদে গ্রেনেড এ্যাটাক করে।আর অবশেষে ১৯৭৫ সালে সর্বকালের জন্য মোনার্কি প্রথার বিলুপ্ত ঘটে আর পরবর্তীতে ভারতের ২২ তম রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।আর এই জায়গায় ভারতীয়,নেপালি আর চাইনিজ মানুষদের একটা হাইব্রিড বলা যায়।ভূটানের সাথেও যে এরকম টা হবেনা এটা বলা নিশ্চিত না,কারণ ভূটান মোনার্কি শাসিত একটি রাষ্ট্র। এগুলা ছাড়াও সিয়াম নামের মোনার্কি শাসিত দেশ থেকে থাইল্যান্ডের আগমন। তাছাড়াও এরকম হয়তো অনেক ঘটনা ঘটেছে যেটা হয়তো আমাদের জানা নেই।তবে আপনারা যেভাবে ইউএন কে অনেক সৎ ভাবেন যে, কোনো দেশ এর অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা হলে ইউ এন ঝাপায় পড়বে,ওই দেশ কে জাস্টিস দিবে। এইটা কতটুকু সত্য তা এটা উপরের দেশ গুলোর তাকালেই বুঝবেন।শান্তি সংঘ শুধুমাত্র এ্যালাই রাষ্ট্র ছাড়া আর স্বার্থ ছাড়া কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যায় হস্তক্ষেপ করেনি,ইভেনইফ ওই দেশের প্যাট্রিয়োটিক স্বাধীনতা ভেস্তে গেলেও মাথা ব্যাথা ছিলনা।বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি দেখেনে,তাহলে তখন ইউএসএ সহ রাশিয়া তার সাথে আরও বড় বড় এ্যালাই রাষ্ট্র হস্তক্ষেপ করাতে তারা এখানে ভূমিকা রাখতে বাধ্য হয়েছিল।আসলে সবাই নিজের স্বার্থটাই মুখ্য করে দেখে।এটাই নির্মম বাস্তবতা।তাই কখনোই কাউকে না জেনে দয়া করে "দুধের ধোয়া তুলসী পাতা" বলে ট্যাগ দিতে যেয়েন না।প্রচণ্ড খারাপ লাগে বিষয় গুলা।তবে একটা পসিটিভ দিক আছে,দিন দিন হয়তো সচেতনতা ও প্রারম্ভিক বা অথোরিয়াল এর ফলে এখন জিনিস গুলো হিল হচ্ছে যেমনঃগ্রীনল্যান্ড হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার পর সবচেয়ে বড় কোনো দ্বীপ,যেটা প্রায়ই সৌদিআরবের(KSA) মতো বড়।কিন্তু গ্রীনল্যান্ড স্বাধীন কোনো দেশ না।বরং ডেনমার্কের অধীনে একটি রাজ্য যে রাজ্যটি ডেনমার্কের চেয়েও অলমোস্ট ৫০ গুণ বড়,আর ডেন মার্ক থেকে প্রায় হাজারখানেক মাইল দূরে অবস্থিত। ২০০৯ সাল পর্যন্ত তো গ্রীনল্যান্ডবাসীর অফিশিয়াল ভাষা গ্রীনল্যান্ডিং কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল পর্যায়ে কখনো কন্সিডারই হতোনা।তবে কিছু দিনের মধ্যেই এটা অফিশিয়ালি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায় আর সেল্ফরুলিং দেশ হিসেবেও মর্যাদা লাভ করে।আমরা আশা করতে পারি খুব শীঘ্রই এটা হয়তো স্বাধীন দেশ হিসেবেও একদিন স্বীকৃতি পাবে।

Saturday, May 15, 2021

02nd December, 1984 MADHYA PRADESH,BHOPAL THE UNTOLD STORY World's worst industrial disaster ever! Even worse than the loss of chernobyl

তুর্কিতে নেওয়া পৃথিবীর অন্যতম খ্রীষ্ট ধর্ম প্রচারকারী সাধু বা প্রেরিত পৌলের একটি লাইন আসলেই সত্য "GREED IS THE ROOT OF ALL EVILS." এবং আমি নিজে একটি মতে বিশ্বাস করি সেটি হলো- "LAZINESS IS PATH OF DESTRUCTION." এই দুইটি লাইন চেরনোবিল এর ক্ষেত্রে হোক বা ভোপালের ক্ষেত্রেই হোক,দুটোতেই সমান কার্যকরী।অসাবধানতার মাশুল স্বরুপ চেরনোবিলের দুর্ঘটনার ওই প্রভাব আমাদের পৃথিবী বিশ হাজার বছর ধরে ভুগবে।কিন্তু ভোপালের এই দুর্ঘটনার প্রভাব এই পৃথিবী কত বছর ভুগবে তার কোনো ইয়াত্তা এখনো কেউ জানেনা।আর হ্যাঁ যারা কীনা শুধুমাত্র ১৯৮৬ সালের ইউক্রেনের "চেরনোবিলের বিপর্যয়" সম্পর্কে জানেন,কিন্তু এর ঠিক দুইবছর আগের এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত নয়,তাদের কে অনুরোধ করবো এটি ধৈর্যের সাথে পড়ার।
আশা করি কিছু সময় আপনার ব্যয় হলেও কিছু নতুন জিনিস জানতে পারবেন এবং যারা ভোপাল সম্পর্কে জানেন তারা এটি এড়িয়ে যেতে পারেন। আর সবার পড়ার সুবিধার্থে বাংলায় লিখছি। আগে ঘটনার প্রেক্ষাপট জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ভারতের সেন্ট্রাল হলো মধ্যপ্রদেশ।নামটাই তার জানান দেয়। মধ্যপ্রদেশের রাজধানীর নাম হলো ভোপাল।ঘটনার ঠিক পনেরো বছর আগে ১৯৬৯ সালে এখানে "Union Carbide India Limited" নাম
ে একটি কোম্পানি দ্বারা পেস্টাসাইড বা কীটনাশক এর কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়।আর এই কারখানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সাথে সাথে ওখানকার সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফুটে উঠে।কারণ ওই সময় ভোপালের প্রায় প্রত্যেকটা নিম্ন আয়ের মানুষ চাকরি থেকে বঞ্চিত ছিল।মানুষ তখনো কেমিক্যালের ভয়াবহতা সম্পর্কে তেমন সচেতন ছিলনা।তারা খালি জানতো যে এই চাকরি মোটামোটি রিস্কি এবং তারা টাকা পাবে।এইজন্য মানুষ টাকার জন্য এই কোম্পানিতে চাকরির জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে।আর এই কোম্পানিতে লোভ আর অসাবধানতা দুটিই ছিল।এই কোম্পানি "M.I.C.- Methyl Isocyanate"(মিথাইল আইসোসায়ানেট) উৎপাদন করতো।কোম্পানি এই ক্যামিকেলটাই কীটনাশক বানাতে ব্যবহার করতো।আর M.I.C. মানুষের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষতিকর ক্যামিকেল।কিন্তু এই কোম্পানি ভোপাল শহরের মধ্যে ৪২ টনেরও বেশি এম আই সি কারখানায় মজুদ করে রাখতো।কোম্পানির মালিক জানতো যে শহরে এই ক্যামিকাল রাখা কতটা বিপদজনক হতে পারে,তবুও তারা তা মজুদ করে রাখতো।আর প্রোডাকশন যেনো দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে এজন্য কোম্পানি পুরো শ্রমিক ও শহরের সেফটি কে ইগ্নোর করেছিল।আর এই ক্যামিকেল জলীয় পদার্থের সংস্পর্শে অনেক বাজে ভাবে বিক্রিয়া করে।আর একদিন এই পাম্প ফেটে যায়। ১৯৮৪ সালের ০২ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত ১২ টায় ভোপালের ঘরে ঘরে মানুষের অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাশি আর শ্বাস প্রশ্বাসের কষ্ট দেখা দেয়।মানুষের রক্ত বমি হওয়া শুরু হয়।মানুষ গুলো বুঝতে পারেনি যে এগুলো কেন হচ্ছে।পরে তারা তথ্য পায় তৎকালীন ভোপালের সবচেয়ে বড় কারখানার "M.I.C." লিক হয়ে গিয়েছে।মেন্টেইনেন্ট আর ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের অসাবধানতার কারণে হঠাৎ "M.I.C." ভরা ট্যাংকি নং ৬১০ এ পানি যেতে থাকে।পানি তার নির্দিষ্ট জায়গা থেকে লিক হয়ে ওই ট্যাংকে যাওয়া শুরু করে।আর এই গ্যাস আর পানির মিশ্রণ থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই।পুরা ৪২ টন গ্যাসের ট্যাংকিতে পানি যাওয়া শুরু করে, আর এতে ট্যাংকিতে ভয়ানক চাপ তৈরি হয়।আর মিশ্রণের প্রভাবে বিক্রিয়া হয় আর সেই বিক্রিয়ার চাপ ট্যাংকি সহ্য করতে না পেরে সেটি বিস্ফোরণ হয়।আর ৪২ টন গ্যাস পরিবেশের বায়ুর সাথে মিশে যায়।আর এই গ্যাস শরীরের ভেতরের রক্তের সাথে মিশে, শ্বাসনালীর উপর অনেক চাপ সৃষ্টি করে যার জন্য শ্বাস নেওয়া অসম্ভব ছিল।এক ঘণ্টার মধ্যে ওই গ্যাস প্রায় ১০ বর্গকিলোমিটার ব্যাপি ছড়িয়ে পড়ে।শ্বাস নেওয়া অসম্ভব ছিল।মানুষজন ঘর সম্পদ রেখে শ্বাস নেওয়ার জন্য অনেক দূরে যাওয়া শুরু করলো।শরীর থেকে চামড়া খসা শুরু করলো,এক সেকেন্ডে চোখের মণি গলে গিয়ে সাদা হয়ে গেল।কী ভয়াবহ!!ভোরের দিকে মানুষজন পুকুরে নদীতে ডুব দেওয়া শুরু করলো,(এই ভেবে যে তাদের শরীরের গ্যাস পানিতে ধুয়ে মুক্ত হয়ে যাবে।)কিন্তু তারা জানতোনা ওই গ্যাস সমস্ত পানিকে তেজস্ক্রিয় বানিয়ে ফেলেছিল।কিছুক্ষণের মধ্যে পুকুরে অসংখ্য লাশ ভেসে উঠলো!ভোর ৫টার পর পুরো ভোপাল জুড়ে লাশের স্তুপ লেগে যায়।একরাতের মধ্যে ওই শহরের মানুষ সব কিছু হাড়িয়ে ফেলে।রাস্তা,পুকুর,স্টেশন,বাসায় খালি পশু পাখি আর মানুষের লাশ পড়ে ছিল।অসংখ্য পরিবার, বাচ্চা,বাসা,জমি সব একরাতে ধবংস হয়ে গিয়েছে।পুরো ভারত ওদিন কেপে উঠেছিল।অফিশিয়াল রিপোর্ট অনুযায়ী ৩,৭৮৭ জন মানুষের মৃত্যু একরাতে হয়েছিল।
আর লাখ লাখ মানুষের শরীরের ওই গ্যাস প্রবেশ করে। তাদের ডিএনএ কে নষ্ট করে তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কে শারিরীক ও মানসিক ভাবে অক্ষম প্রজন্ম জন্ম দিতে চলেছিল।৫ লাখ মানুষ এই গ্যাসের সংস্পর্শে আসে।আর এই গ্যাস তাদের ও তাদের বাচ্চা এবং সেই বাচ্চার বাচ্চা এইভাবে একটির পর একটির প্রজন্মের মধ্যে এই অসুখের একটি ভয়ানক আশ্বাসবাণী দিয়ে গিয়েছিল।ওদিন তো তারা ভুগেছেই,কিন্তু ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে অক্ষমতার একটি চেইন ক্রিয়েট করে দিয়েছে।যারা কিনা ওই গ্যাসের সংস্পর্শে এসেছে তাদের সবারই নিউরোলজি জনিত সমস্যা, শারিরীক সমস্যা দেখা যায়।বাট এখনো ওখানকার মানুষ দাবি করে যে মৃত্যুর আসল সংখ্যাটা ষোলো হাজারেরও বেশি।আর প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় যে প্রথম তিন দিনের মধ্যেই দশ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল। এরপর অনেকদিন কেটে গেল আর ওখানকার মানুষ উপলব্ধি করলো যে ওইরাতে যারা মারা গিয়েছে তারা অনেক সৌভাগ্যবান ছিল।আর ভাগ্য খারাপ তাদের যারা কিনা বেঁচে গিয়েছিল।ওই গ্যাসের প্রভাব এখনো আছে এবং সেটা আরও কতদিন থাকবে তার কোনো ইয়াত্তা নেই।ওই ঘটনার পরপরই ভোপালে ডিফিক্টিভ শিশুর জন্ম বহুগুণে বেড়ে গিয়েছিল।আর সেটা এখনো বৃদ্ধিশীল।জন্ম নেওয়ার প্রতি একশো শিশুর শতকরা পঁচিশজন প্রতিবন্ধকতা নিয়ে জন্ম নেয়।কেউ বোবা হয়ে জন্ম নেয়,তো কেউ অন্ধ হয়ে।আবার কেউ মেরুদণ্ডহীন ছাড়া জন্ম হয় আবার কেউ ব্রেইন ও শ্বাসনালীর ক্যান্সার নিয়ে।এখনো অনেক মানুষ হাস্পাতালে রেগুলার চেকাপ করতে যায় ওই গ্যাসের কারণে তৈরি অসুখ নিয়ে বা ওটা সম্পর্কিত কোনো রোগ নিয়ে।এখনো সেই কারখানা ওরকম ভাবেই পড়ে আছে।আর সেই ক্যামিকেলের বর্জ্য ও কণা এখনো বিদ্যমান।এখনো ওই এলাকা থেকে অনেক দূর দূরান্ত পর্যন্ত মাটির নিচের পানি বিষাক্ত ক্যামিকেল দ্বারা দূষিত।যার কারণে এখনো মানুষ ওই পানি ব্যাবহার করছে যেখানে কীনা ওই গ্যাসের কিছু এলিমেন্ট আছে। আর ১৯৮৯ সালের ২৪ ই ফেব্রুয়ারী ওই উক্ত কোম্পানির চেয়ারম্যান ওয়ারেন এন্ডারসন ভারত সরকার কে 490$ মিলিয়ন বা বর্তমানে একচল্লিশ হাজার কোটি টাকার উপরে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয় তবে ওই সময় ডলারের মূল্য অনেক কম ছিল।কিন্তু এইটুকু কি যথেষ্ট?এই টাকার মূল্য কী প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে জন্ম নেওয়া বিকল শিশুর জীবনের সমতুল্য? মানুষ কী তখনো সচেতন হয়েছিল?যদি হয়ে থাকে তাহলে ভোপালের ঘটনার দুই বছর না যেতেই চেরনোবিলের মাধ্যমে কীভাবে একই রকম ঘটনার পুনারাবৃত্তি ঘটলো?বাস্তবতা হলো মানুষ এখনো সচেতন না।প্রতিবারই মানুষ অর্থের লোভে কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ সেটা ভুলে যায়।জ্ঞান আর সচেতনতার অভাবে মানুষ অর্থকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়।আর মাঝের মধ্যে অসাবধানতার কারণে নিজের জীবন থেকেও বেশি গুরুত্ব দেয়।আর এখনো অনেক কারখানার মেশিনের মেইন্টেনেন্স হোক বা না হোক সেটা চলবে কিন্তু প্রডাকশন বিরতীহীন ভাবে চালু রাখা চাই!শ্রমিকের নিরাপত্তা হোক বা না হোক কিন্তু প্রোফিট প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি হওয়া চাই।অনেক কারখানাতে নিরাপত্তার জন্য দরকারি সরঞ্জাম কখনো রাখাই হয়না।"প্রফিট" মানুষ কে আসলেই অন্ধ করে দেয়।কোম্পানির মালিক কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ,কোনটা প্রয়োজনীয় তা সব জানা সত্ত্বেও শুধু অর্থের লোভে অন্ধ হয়ে যায়। যাই হোক মানুষ কখনোই শুধরাবেনা আর এই ফল মানুষই ভোগ করবে এবং তা করছে ও ভবিষ্যতেও করবে! আগামীকাল ভোপালের সেই ঘটনার ৩৬ বছর পূর্ণ হবে।শোকবার্তা জানাই সেই সকল ভোপালবাসীর প্রতি যারা কিনা ওই রাতের এই তারিখে প্রাণ হারিয়েছিলেন।আর সুস্থতা কামনা করে আল্লাহর নিকট দোয়া করি সকল অসুস্থ মানুষের জন্য।ধন্যবাদ!

করোনা ভাইরাসের অজানা ইতিহাস!

চীন কী শুধু করোনা ভাইরাসের জন্যই দায়ী?


করোনা

আউটব্রেকের পর সবার মধ্যে একটাই প্রশ্ন যে এতো এতো রোগ ছড়ানো স্বত্তেও কেন  চীনা সরকার বন্যপ্রাণী (Wild Life Farming) যেমনঃসাপ,বাদুড়,ইঁদুর,কুমির,কুকুর ইত্যাদিকে কেন বাজারেএতোদিন অব্দি(Wet Market-যেখানে এই বন্য প্রাণি বিক্রি করা হয়) বৈধ করে রেখেছিল ?আর করোনা ইন্সিডেন্ট এর পর স্থায়ী ব্যান দিয়েছে,তবে এটা কী আসলেই স্থায়ী?আপনাদের মনে অনেকগুলো প্রশ্ন মাইন্ডে আসছে নিশ্চয়ই-তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য প্রশ্ন হতে পারে-

১)বন্যপ্রাণী এভাবে হত্যা করার ফলে কী বাস্তুতন্ত্র (Ecosystem) নষ্ট হচ্ছে না?

২)  এটাকী মোরালি রাইট?

৩)চায়না থেকে এই বন্যপ্রাণী গুলোর মাধ্যমে অনেক রোগ জেনেরেট হওয়া স্বত্তেও  সরকারই বা কেন এই ফার্মিং 

কে প্রশ্রয় দিচ্ছে?

এই প্রশ্নের উত্তর গুলো আমি আমার ব্যাক্তিগত পর্যেষণার দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করবো।


*১নং এর উত্তর বাস্তুতন্ত্র এর ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে?

=>ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্র এর ডিসব্যালেন্স হলেও চীনারা তাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা সেই জায়গাটা থেকে মোনস্যানটো(একটি এ্যাগ্রো ক্যামিকেল কম্পানি)দ্বারা তৈরি জেনেটিকালি মোডাফাইড ক্রপ,জেনেটিক এবং ক্লোনিং করা প্রাণি উৎপাদনে সক্ষম,তাই তেমন ইফেক্ট ফেলেনা।


*২নং এটা নৈতিক ভাবে ঠিক কীনা?

উত্তর-না,অবশ্যই না।তবে একটা দেশের ক্ষেত্রে তার দেশের অর্থনৈতিক (ইকোনোমিকাল) এবং কূটনীতিক (ডিপলোমেটিকাল)লাভ সবার আগে দেখা হয়,"নৈতিকতা" বলতে কোনো শব্দ এখানে গ্রহণ যোগ্যতা পায়না সেটা ঠিকই হোক বা বেঠিক।


*৩)চীনা সরকার কেন অনুমোদন দিয়েছে?

=>আমরা দেখেছি বেশিরভাগ আলোড়ন ছড়ানো রোগ গুলোর উৎপত্তিস্থলই চায়না।কয়েকটি দেখে আসা যাক!(কিছু কথা বলে রাখা ভালো, বেশিরভাগ ভাইরাস রোগই ভিন্ন ভিন্ন প্রাণি থেকে নানা মাধ্যমে মানহদেহে সংক্রমিত হয় যেমনঃ১)পাখির থেকে যে  ভাইরাস উৎপন্ন হয় তা হচ্ছে বার্ড ফ্লু ভাইরাস।

২)শুকরের থেকে যে ভাইরাস উৎপন্ন হয়েছিল তা সোয়াইং ফ্লু ভাইরাস।

৩)এইচআইভি ভাইরাস যেটার কারণে এইডস হয় তা অরিজেনেট হয়েছিল শিম্পাঞ্জির থেকে।

৪)আফ্রিকা জুড়ে ইবোলা ভাইরাস এর উৎপত্তিও বাদুড় থেকেই তৈরী হয়েছিল।

৫)কভিড-১৯ এটাও বাদুড় থেকেই জেনেরেট হয়েছে তবে এই ভাইরাস বাদুড়ের মাধ্যমে পেংগোলিন নামক প্রাণিতে ছড়ায়,যে প্রাণিটি চায়নার একটা ডেলিকেসি,মানে জনপ্রিয় খাবার। তার মাধ্যমেই এখন এটা ইনফেক্টেড হচ্ছে। 

আর এই ভাইরাস টা তখনই ছড়ায় যখন এই প্রাণিগুলো একসাথে কোথাও ঠাই করে,ঠিক উহান এর ওয়েট মার্কেটের মতো,যেখানে এই গ্যাদারিং টা অনেক বেশি।


এখন করোনা মহামারির আগেও কয়েকবার এরকম ঘাতক রোগ সারাবিশ্বজুড়ে আলোরন ফেলেছিল।তার উল্লেখযোগ্য 

১)১৯৬৬ সালের এশিয়ান ফ্লু যে রোগ তৎকালীন সারাবিশ্বের প্রায় ১০ লক্ষ থেকে ৪০ লক্ষ পর্যন্ত জীবন কেড়ে নিয়েছিল।এই রোগের উৎপত্তিস্থলও চায়না।

২)আবার চায়না থেকে উৎপন্নই বার্ড ফ্লু ঠিক এশিয়ান ফ্লু এর ১০ বছর পর অর্থাৎ  ১৯৭৬ সালে সারাবিশ্বে আনুমানিক ১০ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়।

৩)২০০২ এ সার্স(SARS) যেটা প্রায় ৭৫০ লোকের জীবন কেড়ে নেয় এবং এটাও চায়না থেকেই উদ্ভব।

৪)২০১৯  সালের শেষের দিক করোনা ভাইরাস থেকে তৈরী কভিড-19 যেটা বিশ্বের ১৮৬ টা দেশে অলমস্ট ত্রিশ হাজার মানুষের এখন পর্যন্ত প্রাণ কেড়ে নিয়েছে(২৯/০৩/২০২০)পর্যন্ত,যা এখনি বিশ্বে সবচেয়ে ইনফেকশিয়াস ভাইরাসের কাতারে প্রথম।এটার উৎপত্তিস্থলও চায়না।

 


তবে চায়না এরকম কেন করছে?সরকার অনুমোদন দিচ্ছে কেন?আগে থেকেই কী এমন টা ছিল?মানুষজনই কেন আকর্ষিত হচ্ছে?

=>এই উত্তরগুলি জানার জন্য আমাদের চায়নার প্রেক্ষাপট এবং ইতিহাস জানতে হবে।তাহলেই আমার মনে হয় উত্তর গুলো পেয়ে যাবো।

প্রেক্ষাপট:১৯৫৯ সাল থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত চায়নাতে দ্যা গ্রেট চাইনিজ ফ্যামিন(The Great Chinese Famine)নামক একটা অন্ধকারকাল দ্বারা আবৃত ছিল।এই টাইমে চায়নার ইকোনোমিতে এমন ধবস নামে যেটা থেকে ঘুরে দাড়ানোর মতো চায়না সরকারের সামর্থ্য ছিলনা। এই অকালসময়ে চায়নাতে প্রায় ৩কোটি ৬০ লাখ মানুষ অনাহারে মারা যায়।আর চায়না ভংগুর অবস্থায় চলে আসছিল৷আর ওই  টাইমে চায়নার যে কমিউনিস্ট গ্রুপ খাদ্যদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ কাজে যুক্ত ছিল তারাও ওই টাইমে দেশের বৃদ্ধিপাওয়া কাঙালের জন্য প্রায় ৯০ কোটি মানুষের খাদ্য যোগানে ব্যর্থ ছিল।আর ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত চায়নার ইকোনোমিক অবস্থা এতো খারাপ ছিল যে বাধ্য হয়ে চায়না সরকার ব্যক্তিগত প্রাণি ফার্মিং কে আইনিভাবে বৈধতা দেয়(প্রাইভেট ফার্মিং হচ্ছে কৃষক যে মাধ্যমে ক্ষেতের মধ্যে অনেক সংখ্যক প্রাণির পরিচর্যা ও লালন পালনকরে মাংস বা চামড়া যা ইচ্ছা বিক্রি করতে পারবে এবং ফার্মাররাও লাভমান হবে।)যার ফলে বড় বড় কম্পানিগুলো এই ফার্মারদের কাছ থেকে বেশ চাহিদা সম্পন্ন প্রানীর দ্রব্যাদি যেমনঃমুরগি,গোরু,শুকর উৎপাদন করা শুরু করলো।আর এটা ছিল বেশ ব্যায়বহুল। যার কারণে বেশির ভাগ মানুষ গরীব হওয়ায় তেমন কোনো সুবিধা পেলনা।আর এজন্যই তারা শুরু করলো ওয়াইল্ড ফার্মিং ইন্ডাস্ট্রি যার মানে হচ্ছে জংলি জন্তুতের ধরে এনে তা কেটে বিক্রি করা।আর এই ফার্মিং এর প্রাথমিক পর্যায় এর প্রাণি গুলো ছিল সাপ,বাদুড়,বিড়াল,কুকুর,কাক ইত্যাদি।কারণ এগুলো ধরাও সহজলভ্য ছিল,আর ক্ষুধার কারণে চাহিদা থাকাই যে মূল্যের বিনিময় বিক্রয় করতো তার পুরোটাই লাভ বা মুনাফা হতো,কারণ এদের নিবিড় পরিচর্যা করার তেমন দরকার ছিলনা।আর এই কারণেই গরীব মানুষগুলো খুব সহজভাবেই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো।আর এই কারণেই মূলত চীনা সরকার এই ইন্ডাস্ট্রিকে বন্ধ করেনি কারণ সরকারের কথা-"যদি এই ওয়াইল্ড ফার্মিং ইন্ডাস্ট্রির কারণে আমার দেশের গরীব মানু্ষরা নিজের জীবিকা নির্বাহ করে নিজের এবং পরিবারের খরচ চালাতে পারে এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ করতে পারে তবে  এতে ক্ষতি কী।"চায়না সরকার এটাকে এতো বেশি সাপোর্ট করেছে যে ১৯৮৮ সালে "ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন আইন"পাশ করে যেটার মূল কথা ছিল যে চায়নার প্রত্যেকটি বন্যপ্রাণি একেকটি ভোগ্যপণ্য,যেটার মালিক চায়না নিজেই আর এই ট্রেডিং সরকার দ্বারা সংরক্ষণ করা হবে এবং এই কৃষক গুলোকে সরকার নিজে রক্ষাকরার দায়ভার নিয়েছে।


তবে সরকার কর্তৃক এতো সুযোগ সুবিধা পাওয়ার পরেও এই ওয়াইল্ড লাইফ ফার্মিং ইন্ডাস্ট্রি কী এই ফার্মার গুলা কী বন্ধ করবেন?আপনারাই বিবেচনা করুন তো?


শেষ প্রশ্নটি এতো রোগ ছড়ালো ২০০২ পর্যন্ত তারপরও কেন ১৮ বছর পর করোনার কারণে সরকার এটা ব্যান করলো!আগে কেন করেনি?

=>এর উত্তরে বলবো২০০২ সালে SAARS(Severe Acute Respiratory Syndrome) আউটব্রেক করারপর ওয়াইল্ড লাইফ ফার্মিং আইনিভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল চীনা সরকার।এই ভাইরাসটি ফ্রোশেন শহরের ওয়েট মার্কেটে সিভিট ক্যাট নামক ভাইরাস থেকে ছড়িয়ে গিয়েছিল।এরপরই চীনা সরকার সব ওয়েট মার্কেট বন্ধ করে দেয়।বাট কিছু সময়ের জন্য,এই নিষেধাজ্ঞার তিন-চার মাস পর চায়না আবার এটার বৈধতা দেয়  ৫৪ প্রজাতির প্রাণির উৎপাদন এবং বিক্রিতে(এর ৫৪ প্রাণিএর মধ্যে সিভিট ক্যাট ও ছিল)।আর এই ওয়াইল্ড লাইফ ফার্মিং ট্রেডিং ইন্ডাস্ট্রি  অনেক ভালোভাবে ফর্মে আসলো(২০০৪ সাল পর্যন্ত এই ইন্ডাস্ট্রির ওর্থ ভ্যালু ছিল ১০০ বিলিয়ন চাইনিজ ইউয়ান)।এতো ভ্যালুর কারণে চায়না সরকার ফোর্সহয় এটা চালুরাখার কারণ আগেই বলেছি ইন্টার্নাল ইকোনমিকাল বেনেফিট সবার আগে দেখা হয়।আর এজন্য ফুল সাপোর্ট চীনা সরকার দিতে বাধ্য হচ্ছে।২০১৬ সালে বাঘ এবং প্যাংগুলিনের ব্যবসা ও ফার্মিং করাও সরকার লিগ্যাল করে দিয়েছে।আর এই প্রাণি গুলো থেকে বিভিন্ন পণ্য যেমনঃমাংস,চামড়া ইত্যাদি উৎপাদন করা শুরু করলো।আর এইসব পণ্যের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়াতে ধনী লোকেরাই এটার ক্রেতা হচ্ছে,আর চায়না সরকার এই ধনীদের টাকার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে মানুষের স্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করে।তবে ২০১৯ সালে এই কভিড-19 আউটব্রেক করার পর সরকার আবার ওয়েট মার্কেট এবং বন্যপ্রাণির ফার্মিং ও বিক্রির উপর চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

তবে এই জারি কী আদৌ চিরস্থায়ী?এর আগেও কিন্তু চায়না এই কাজ করেছিল তবে পরিস্থিতি ঠান্ডা হওয়ার পর আবার তারা নিজের স্বার্থটিকেই দেখে।তবে এবারও কী করোনা সংকট চলে গেলে কী চায়না সরকার এই বন্যপ্রাণি ফার্মিংয়ের উপর আবার বৈধতা দিবে?তারা কী এইবারও নিজের স্বার্থটিকেই উপরে রাখবে?এই প্রশ্ন গুলো কিন্তু থেকে যায়।



অসুস্থ প্রতিযোগিতার কবলে পড়ে এ যেন এক প্রাণহীন পোশাক খাত!

একদিন ঘুম থেকে উঠে শুনলেন, দেশের সব পোশাক কারখানা গুলোতে তালা ঝুলছে!এই কথাটা শুনে আপনি নিশ্চয়ই অনেক অবাক হয়েছেন।আপনি চিন্তা করছেন কেন এই সম...